Description
এই বইয়ে উল্লেখিত কোনো চরিত্র বা ঘটনা কাল্পনিক নয়। কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই লেখক এড়িয়ে গিয়েছেন গল্পে উল্লেখিত চরিত্রদের আসল পরিচয়, নাম, ধাম, গোত্র। কারণ, এমন অনেক লেখা রয়েছে যার সঙ্গে জড়িত মানুষদের লেখক কথা দিয়েছিলেন যে তাঁদের পরিচয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। ‘কথার কথা’ বইটি আদতে একটি দিনলিপি লেখকের ব্যক্তিগত দৈনিক জীবনযাত্রার রোজনামচা। তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, সাধারণ মানুষের জীবন এবং তাদের অসাধারণ কিছু গল্প দিয়ে সাজানো এই বইয়ের অন্দরমহল। শব্দ দিয়ে ছবি আঁকার নেশায় লেখক স্মৃতির সরণী বেয়ে পাড়ি দিয়েছেন তার শৈশবে আশির দশকের শেষ এবং নব্বই দশকের কলকাতা শহরের চালচিত্র এই গ্রন্থের অলিন্দে বিকশিত হয়েছে ছোট ছোট মুহূর্তের আবহে। কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে পড়াকালীন এক ছাত্র শিল্পীর চোখে ধরা পড়ে নাগরিক জীবনের রঙিন ও বর্ণহীন ক্যানভাস। তার সঙ্গে কখনো মিশে যায় কল্পনা, কখনো সামিল হয় বাস্তব দলিল। এরপর ধীরে ধীরে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি ক্রমেই ভরে উঠতে থাকে নানান ধরনের চরিত্রের সমাগমে। ভ্রমণপিপাসু লেখকের ঘটনাবহুল জীবনের ছাপ; তার ছবি আঁকার ধরনেও প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। মনের মধ্যে জমতে থাকা গল্পগুলো অবশেষে শব্দের মাধ্যমে ‘কথার কথা’ মলাটের মধ্যে আশ্রয় নেয়। কিছু কাল্পনিক কাহিনী রয়েছে এই বইতে। যেমন ‘অসম্পূর্ণা’ বা ‘কলঙ্ক’। যদিও তাদের মূল আধার কিছু বাস্তব চরিত্র এবং ঘটনা। এছাড়াও লেখকের বেশকিছু অপ্রকাশিত ইলাস্ট্রেশন ও লাইন আর্ট মোটিফ দিয়ে অলঙ্কৃত এই বইয়ের মূল উদ্দেশ্য পাঠকের সঙ্গে টাইম ট্র্যাভেল করা। আমরা প্রতিদিন অনেক কিছুই দেখি, কিন্তু লক্ষ্য করি না। এই বইতে এমন কিছু ঘটনার উল্লেখ, যা হয়তো পাঠকের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গেও অচিরেই সম্পর্ক স্থাপন করবে। পিতা পুত্রের সম্পর্ক, জাহাজের নাবিক ও তার কম্পাসের মতো এই বইয়ের বেশ কিছু লেখায় লেখক বলেছেন তার বাবার কথা। পুরনো কলকাতার অলিগলি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে দুজনের পথচলার কাহিনী। বছর তিনেক হল লেখকের পিতৃবিয়োগ হয়েছে। ‘কথার কথা’— লেখকের, তার পিতার প্রতি এক আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Reviews
There are no reviews yet.