Description
ব্রততী সেন দাসের কলমের এক শক্তিশালী গুণ হল পাঠককে বড় আপন করে নেয়।ঝরঝরে নির্মেদ গল্পের মধ্য দিয়ে গিয়ে পাঠক কখন যে গল্পের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে নেয় নিজেও জানে না।গল্পগুলিতে ঘটনার যে স্বচ্ছ সহজ বিবরণ থাকে তা পাঠকের মনে অনুভবের গভীরতার অনুরণন রেখে যায়।শত সহস্র আলোকবর্ষ দূরে অগণিত নক্ষত্র উজ্জ্বল হয়ে থাকে দেখা যায়,বেদনায় বিদীর্ণ হয়ে নীল নক্ষত্র যখন ঝরে পড়ে তখন তার মধ্যেকার হাহাকার আমরা অনুভব করি।মানুষের জীবন গাঁথায় ঊর্মিমালার মত ব্যথা-বেদনা-আনন্দ-যন্ত্রণা বারবার পাড়ে এসে জীবনতটে ধাক্কা মারে।কেউ হারিয়ে যায়,কারোর উত্তরণ ঘটে।ওঠা ও পড়া,জেতা ও হারার মাঝখানে অনেক অনুভব কাজ করে।ব্রততীর মরমী কলম সেই অনুভবগুলো ছুঁয়ে যেতে চায় বার বার।’বাসনা’,’কোজাগরি’ বা ‘অন্ধকূপ’ মানুষের স্বপ্ন দেখার গল্প বলে।’পাতাল-প্রবেশ’,’আওয়াজ’ প্রতিবাদের ভাষা যোগায় আর ‘নক্ষত্র ঝরে যায়’ শোনায় দুই অসমবয়সী নারী পুরুষের সম্পর্কের কাহিনী।তারা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ না থেকে নিঃশর্ত বন্ধুত্বের অঙ্গীকারে একে অপরের হাতে হাত রাখে।প্রেম আবেগের সর্বোচ্চ প্রকাশ ,সেই প্রেমের সন্ধান চলে ‘ক্যানভাস’ গল্পটিতে।ব্রততীর সব কাহিনীতেই জীবনের নিশ্চিত প্রত্যয়ের কথা ফুটে ওঠে।হেরে যেতে যেতে বা হারিয়ে যেতে যেতে মানুষ অনস্বীকার্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায়।
কোজাগরি
ব্রততী সেন দাস
Reviews
There are no reviews yet.