Description
“ভাষাকে শুধু জীবন্ত হলেই চলবে না তাকে মুক্ত হতে হবে। ভাষাকে মুক্তির দিকে নিয়ে যেতে হবে! ভাষাকে শুধু তীব্র, তীক্ষ্ণ ও একমুখী করে তুললেই চলবে না, তাকে নিয়ে আসতে হবে জীবনের কাছাকাছি, জীবনের প্রবাহের সঙ্গে তাকে যুক্ত করতে হবে। ভাষাকে শুধু স্মার্ট বা চিত্রবহুল, সংযত বা বিশৃঙ্খল করলে কিছু পাব না আমরা, যদি পরত্যাগ করতে না পারি গোঁড়ামি ও ক্ষীণ দৃষ্টি, অর্জন করতে না পারি সমগ্রতার বোধ ও মুক্ত দৃষ্টি। ভাষা যে আজ জীবনের সমগ্রতাকে, সৌন্দর্যের সমগ্র রূপকে ধরতে পারছে না, সে-দায় আমাদেরই, জীবন এগিয়ে গেছে, ভাষা এগিয়ে যায়নি অর্থাৎ ভাষাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি।
যুক্তি, বুদ্ধি ও দক্ষতা ভাষাকে কৃত্রিম ও আড়ষ্ট করে তুলতে চায়। এরা চায় ভাষার শৃঙ্খলা। যদি ভাষার শৃঙ্খলা আনা যায়, এক ধরণের উজ্জ্বলতা ভাষাশরীরে দেখতে পাব ঠিকই, কিন্তু সেই উজ্জ্বলতা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া সিগারেট বাক্সের রাংরাত মতোই, যা মানুষের কোনো কাজে লাগে না। যা আমাদের জীবনের গভীরে নিয়ে যেতে পারে না। কৃত্রিমতার স্পর্শে সব কিছুকে কৃত্রিম করে তুলতে চায়, কৃত্রিমতার কারবারিরা এভাবেই তাদের চিন্তাকে আর চিন্তার প্রকাশকে যথাযথ, প্রায় আবেগহীন ও একটা নিয়মে বেঁধে দিতে চায়…” —– ‘ভাষার মুক্তি, ভাষার কারাগার’ শীর্ষক প্রবন্ধের অংশ।
Reviews
There are no reviews yet.