Description
কলকাতা শহর থেকে খানিক দূরে প্রাচীন এক জমিদার বাড়িকে রেনোভেট করে তৈরী হয়েছে ঝাঁ চকচকে এক রিসর্ট।
কিন্তু সেই রিসর্টেই ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। প্রায়ই রিসর্টে এসে অদ্ভুত ভাবে মারা যাচ্ছেন বোর্ডাররা। আপাতদৃষ্টিতে প্রতিটা মৃত্যুই আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। আর যারা মারা যাচ্ছেন ঘটনাচক্রে তারা সবাই পুরুষ। মৃতদের কারোর সাথেই কারোর কোন যোগসূত্র নেই।উপন্যাসের প্রোটাগনিস্ট নন্দিনীর স্বামী দিবাও আত্মহত্যা করলো অকস্মাৎ ওই রিসর্টে গিয়েই। কিন্তু ওই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ নন্দিনী। কারা দিবার মৃত্যুকালীন কিছু অদ্ভুত অস্বাভাবিকতা প্রত্যক্ষ করেছিল নন্দিনী।
নন্দিনীর দৃঢ় বিশ্বাস ওই রিসর্টে লুকিয়ে আছে কোন অন্ধকার ঢাকা রহস্য, যে রহস্যই মৃত্যুর আসল কারণ ওই রিসর্টের বোর্ডারদের।
রহস্য খুঁজতে খুঁজতে নন্দিনী পৌঁছে যায় ওই জমিদার বাড়ির অতীত ইতিহাসের কাছাকাছি। জানতে পারে ব্রজবিহারী, দর্পবিহারীদের অভিশপ্ত জীবনের কথা। ওর পরিচয় ঘটে ব্রজবিহারীর স্ত্রী হৈমবতীর সাথে যে হৈমবতী গুণমুগ্ধ ভক্ত ছিলেন রবিঠাকুরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবীর।
কি রহস্য লুকিয়ে আছে ওই রিসর্টে? অতীতের কোন অন্ধকারই আজও মৃত্যু ঘটাচ্ছে রিসর্টে বেড়াতে আসা পুরুষদের? হৈমবতীর সাথে কাদম্বরী দেবীর সম্পর্কই বা কি ছিল? সব কিছু কি জানতে পারবে নন্দিনী? নাকি ও নিজেই জড়িয়ে পড়বে আরও বেশি গাঢ় কোন অন্ধকারে?
এই সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই ভৌতিক উপন্যাসের পাতায় পাতায়। এতে রয়েছে ভয়, রহস্য, অলৌকিকের অদ্ভুত মিশেল প্রতিটি ছত্রে যা পাঠককে শিহরিত করবেই।
Reviews
There are no reviews yet.