শিক্ষাই হোক বা সমাজসংস্কার, যে পথেই এগিয়েছেন বিদ্যাসাগর, তথাকথিত প্রগতিশীল ইংরেজ থেকে দেশীয় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ ও পণ্ডিতকুলের সিংহভাগ অংশ, তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘সেইজন্য বিদ্যাসাগর এই বঙ্গদেশে একক ছিলেন। এখানে যেন তাঁহার স্বজাতি-সোদর কেহ ছিল না। এ দেশে তাঁহার সমযোগ্য সহযোগীর অভাবে আমৃত্যুকাল নির্বাসন ভোগ করিয়া গিয়াছেন।’— বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিধবাবিবাহ প্রচলন থেকে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন, তাঁর প্রতিটি পথ ছিল কণ্টকাকীর্ণ। তিনি তাঁর সমকালের থেকে অনেক অনেক ঊর্ধ্বে উঠে একক প্রচেষ্টায় একের পর এক কাজ সম্পূর্ণ করে গেছেন, তার তুলনা ভূভারতে নেই। বহু বাঙালি নারীর কাছে তিনি ছিলেন ঈশ্বরপ্রতিম।
আজ যে সময়ের মধ্যে চলেছে আমাদের দেশ, যখন ধর্ম, জাতপাত নিয়ে চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি, সে সময়ে তিনি আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক। তিনি সামাজিক সত্তার ওপর ব্যক্তিসত্তাকে কখনও স্থান দেননি। তাঁর ইতিহাসজ্ঞান ছিল সংশয়াতীত।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবর্ষে প্রকাশিত এই গ্রন্থে রয়েছে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন বিশিষ্টজন ও গবেষকদের নিবন্ধ যেগুলি এর আগে কখনো কোথাও প্রকাশিত হয়নি এবং তাই গ্রন্থ বিদ্যাসাগর-চর্চার ধারায় অবশ্যই এক মূল্যবান|
Reviews
There are no reviews yet.