Description
Details
শিল্পকলার ইতিহাসে এক্সপ্রেশনিজম একটি গুরুত্তপূর্ণ আন্দোলন। আধুনিক শিল্পকলার যাত্রা শুরু হয় উনবিংশ শতাব্দিতে, ইম্প্রেশনিস্ট আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, যা ছিলো আধুনিক শিল্পধারার মাইলফলক। বিজ্ঞানের আবিস্কার, যান্ত্রিক বিপ্লব, আলোকচিত্রের আবিস্কার এবং সামাজিক পরিবর্তনের ফলে গড়ে উঠে এই শিল্প আন্দোলন। এর পর একের পর আরেক আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। কারন কোনো আন্দোলনই শিল্পীকে পূর্ণ তৃপ্ত করতে পারছিলনা। কোনো না কোনো অভাব এই সব আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিলো । আর তাকে জয় করার মানসেই সৃষ্টি হচ্ছিল নিত্য-নতুন পরিক্ষা নিরিক্ষা ও আন্দোলন । এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ব্রতি হলেন নতুন সৃষ্টির উন্মাদনায় । এক্সপ্রেশনিজম আন্দোলনটি আধুনিক শিল্পকলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী আন্দোলন । পাশ্চাত্য জগতে বহু শিল্পী এই আন্দোলনে শরিক হন। তবে বর্তমান গ্রন্থে এঁদের মধ্য থেকে দশ জন শিল্পীর জীবন ও শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । সেই সাথে তাঁদের গুরুত্তপূর্ণ কাজের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে যাতে আগ্রহী পাঠক ও শিল্পকলার শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিল্পকলা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন । বর্তমান গ্রন্থাকার শিল্পকলার ইতিহাসের অধ্যাপক এবং শিল্পকলা বিষয়ে অনেকগুলি গ্রন্থের প্রণেতা । তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্প-সমালোচক এবং একইসঙ্গে একজন চিত্রশিল্পী ও কলা ঐতিহাসিক । ফলে শিল্পকলা সম্মন্ধে তাঁর মূল্যায়ন ও ব্যাক্ষা বিশিষ্টতার দাবি রাখে ।
Author Biography
ড. মো. রফিকুল আলম
লেখকের শিক্ষাজীবন শুরু কুষ্টিয়ার চার্চ অফ বাংলাদেশ স্কুলে, ১৯৫৬ সালে। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে এস.এস. সি. পাশ করেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭০ সালে ঢাকার কলেজ অফ আর্টস এ্যান্ড ক্রাফট্স থেকে শিল্পকলার ইতিহাসে ‘ক্রেডিট মার্ক’ সহ ড্রইং ও পেইন্টিং-এ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন। এম.এ. ইন্ ফাইন আর্টস সম্পন্ন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১৯৭৪ সালে (১৯৭২এর পরীক্ষার্থী)। ১৯৮৩ সালে ভারতের কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ফাইন আর্টস—হিস্ট্রি অফ আর্টস’-এ পি.এইচ.ডি. ডিগ্রী (বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রী) লাভ, এবং ১৯৯০ সালে টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন আর্টস এ্যান্ড মিউজিকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা। বিষয়: উকি-ওয়ে ছাপাইচিত্র। ১৯৭৫ সালে খুলনা শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। ১৮৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত খুলনা আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন। ১৯৮৮ সালে চারুকলা ইন্সটিটিউটে শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান। বর্তমানে এই বিভাগে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। তিনি এই বিভাগের ভূতপূর্ব সভাপতি। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক, গবেষক ও শিল্পকলার ইতিহাসবিদ। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হচ্ছে : ১. উপমহাদেশের শিল্পকলা, ২. পাশ্চাত্য শিল্পের ইতিহাস, ৩. বিশ্ব সভ্যতা ও শিল্পকলা, ৪. কিউবিজম ও অনুষঙ্গ, ৫. Folk Painting in Bangladesh, ৬. সুরিয়ালিজম ৭. বিশ্বের মৃৎশিল্প, ৮. ইসলামী সভ্যতা ও শিল্পকলা।
Reviews
There are no reviews yet.