Description
ন্য হে কলিকাতা ধন্য হে তুমি যত কিছু নাতনের ভূমি জন্মভূমি | দিশি চাল ছেড়ে দিয়ে বিলাতের চাল। নকলে ৰাঙালাঁ বাৰ, হল যে কাঙ্গাল !! রাতারাতি বড়লোক হইবার তরে
ঘর ছেড়ে কলিকাতা গিয়ে বাস করে।
আ জব শহর কলকাতা। তিনখানা গ্রাম মিলে শহর তৈরি হল, তখন কে ভেবেছিল এত কম সময়ে এ শহরে এমন বোলা শুরু হবে? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুগ্রহে একদিকে বেনিয়া, দেওয়ান আর তাকিয়া ঠেস দেওয়া জমিদারের গাদি তো লাগলই, একশো বছর যেতে না যেতে ভারতের নানা জায়গা থেকে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ে কলকাতার নিজের এমন এক অদ্ভূত পাঁচমিশালী সংস্কৃতির সৃষ্টি হল, যা সেকালের বঙ্গদেশের অন্য অংশের থেকে একেবারেই আলাদা।
একদিকে যেমন জেলেপাড়ার সঙ, কবিয়াল, বটতলার বই আর কালীঘাটের পট এক ধরণের মানুষের নিয়মিত মনোরঞ্জন করতে লাগল, পাশাপাশি ইউরোপীয় শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতিতে দীক্ষিত মানুষরা এক সম্পূর্ণ ধরণের বৌদ্ধিক যাপনে নিয়োজিত হলে এই সেকেলে কলকাতার সেই সারা বছরের বারো মাসের তেরো পার্বনকে ধরার এক ছোট্ট প্রচেষ্টা মাত্র। শুরু বৈশাখে নতুন বছর দিয়ে তারপর যেমন যেমনভাবে পঞ্জিকার পাতা ওলটায়, তেমনভাবে জামাই দুর্গাপুজো, কালীপুজো, বড়দিন সেরে কাহিনী শেষ হয়েছে চৈত্রমাসের চড়কে। আছে সেকালের পারের আঁকিয়েদের গল্প, ভোট, কারণসেবা, পর্ণো শাকি হয়ে যাওয়া বাগান, শিকারের নানা অজানা কথা। সব মিলিয়ে যে কলকেতাকে আমরা অনেকদিন আগে লে ি এই বই যেন সমানে চেপে তাকেই আবার ফিরে দেখার প্রচেষ্টা মাত্র ।
Reviews
There are no reviews yet.