Description
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য। মাত্র ২৪ বছর বয়সে নবদ্বীপ ছাড়লেন। তার আগে হরিনাম সংকীর্তনের ঢেউ তুলে নবদ্বীপের স্মার্তসমাজ ও কাজির রক্তচক্ষু অস্বীকার করে হিন্দু জাতভেদ ও মুসলিম শাসকের ভেদনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। বাঙালির আদরের নিমাই সেই যে নীলাচলে গেলেন, পরের ২৪ বছরে বাংলায় এলেন মাত্র একবার। না, গৌড়েশ্বর হুসেন শাহর ভয় ছিল না। বরং হুসেন চৈতন্যদেবের প্রশংসাই করেছিলেন।
সেই মহাপ্রভুর দীর্ঘকাল পুরীতে কাটিয়ে হঠাৎই একদিন হারিয়ে গেলেন। গুম খুন নয়, জলে ডুবে নয়, জগন্নাথে বিলীন হওয়া তো নয়ই।
তবে তিনি গেলেন কোথায়?
তাঁর অন্তর্ধান যে তাঁরই রচিত এক পরিকল্পনা সে বিষয়ে সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে এই পুস্তকে। এমনকি অন্তর্ধানের পর কোথায় কোথায় তাঁর উপস্থিতি ছিল তারও কথা। এমনকি পরিণত বয়সে তাঁর অন্তিম পরিণতির এক সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
চৈতন্যদেবের পরিকরদের কার্যকলাপ দেখলে সেই পরিকল্পনার পরিষ্কার ইঙ্গিত আমাদের সামনে উঠে আসে। অদ্বৈত, নিত্যানন্দ, স্বরূপ দামোদর, গদাধর সব জানতেন। অনেক বেশি জানতেন পুরীর পঞ্চসখার অচ্যুতানন্দ এবং বৃন্দাবনের রূপ-সনাতন গোঁসাইরা। আর জানতেন রাজা প্রতাপ। সব জেনেই ভক্তদের মনে ধোঁয়াশা তৈরি করেছিলেন তাঁরা।
প্রতাপের মৃত্যুর কিছুদিন পরে তাঁর পুত্রদের বধ করে রাজা হবেন গোবিন্দ বিদ্যাধর ভোই। চার’শ বছর পরে তাকেই ধরে নেওয়া হবে চৈতন্য হত্যার চক্রী।
না, গোবিন্দ বা পান্ডারা দোষী নন। কী করে দোষী হবেন? যিনি মারা গেলেন না, তাঁকে হত্যার অপরাধে কাকে দোষী ঠাউরাব? ৫০০ বছর পূর্বের ইতিহাসের রহস্য উদ্ঘাটনের প্রয়াস করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.