Description
Details
বঙ্গাব্দ: বাংলা সন ইতিহাস উৎপত্তি ও বিকাশ বইটি একটি গবেষণাগ্রন্থ। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে এই ধরনের কোনো প্রামাণিক গ্রন্থ রচিত হয়নি। মলহনের পুত্র বল্লাল : কে এই কিংবদন্তির মহানায়ক এই বিষয়ের ওপর প্রচলিত জনশ্রুতি ও ঐতিহাসিক তথ্য আহরণ করতে গিয়ে অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বহু বিতর্কিত বাংলা সনের প্রতি আকৃষ্ট হন। জনশ্রুতির সঙ্গে ঐতিহাসিক তথ্যের সামঞ্জস্য বিধান করে তিনি বর্তমান গবেষণাগ্রন্থটি রচনা করেন। এই গ্রন্থে গবেষক সফলভাবেই দেখিয়েছেন যে বংশপরম্পরায় প্রাপ্ত জনশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রে প্রামাণিক ইতিহাসের চেয়ে কোনো অংশেই কম বস্তুনিষ্ঠ ও কম নির্ভরযোগ্য নয়। গবেষক আরো দেখিয়েছেন যে স্বার্থবাদী মহল তাদের হীন স্বার্থে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর মলহনের পুত্র কীর্তিমান বল্লাল রাজাকে চালিয়ে দিয়েছে খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল রাজা হিসেবে। এই উদ্দেশ্যে তারা শত শত গ্রন্থ রচনা করেছে এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রাচীনীকৃত করেছে। ফলে কীর্তিমান নবাব বল্লালের আসল ইতিহাস নকল ইতিহাসের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। গবেষক জয়নাল আবেদীন খান শ্রমসাধ্য গবেষণার মাধ্যমে সেই লুপ্তপ্রায় আসল ইতিহাসকে মিথ্যার বেড়াজাল থেকে উদ্ধার করে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন, যা বঙ্গদেশ ও বাঙালির প্রকৃত ইতিহাস পুনর্গঠনে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
Author Biography
জয়নাল আবেদীন খান জন্ম : ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে। শিক্ষা ও কর্মজীবন : ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বিক্রমপুর কে বি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত হন এবং একই কলেজ থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন খান বিক্রমপুর ও ঢাকার ইতিহাসের একজন নীরব গবেষক। সেই ১৯৭২ সাল থেকে তিনি নিরলসভাবে গবেষণা করে আসছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি প্রবন্ধই উঁচুমানের ও তথ্যসমৃদ্ধ। তাঁর একটি গবেষণাগ্রন্থ বিক্রমপুরের নবাব বল্লাল সেন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ-এর আজীবন সদস্য। জয়নাল আবেদীন খানের যেসব গবেষণা পা-ুলিপি গ্রন্থাকারে প্রকাশের অপেক্ষায় সেগুলো হলো : ‘বিক্রমপুরের তিনটি প্রাচীন রাজপ্রাসাদ ও নবাব বল্লাল’, ‘প্রাচীন বিক্রমপুর আধুনিক বিক্রমপুর’, ‘বিক্রমপুরের প্রাচীন পুকুর-দীঘি’, ‘বিক্রমপুরের বিখ্যাত রাজাবাড়ীর মঠ’, ‘বিক্রমপুরের বাবা আদমের মসজিদ বাবা আদমের মাযার,’ ‘বঙ্গে দশভুজা দুর্গা ও চতুর্ভুজা কালী দেবীর পূজা’ ‘ঢাকার লালবাগ কেল্লা ও পরীবিবির মাজার’, ‘সন বলালি ও নবাব বল্লাল’, ‘মাংতা (বেদে) : সমতল বঙ্গে একটি পার্বত্য কৌম সমাজ’।
Reviews
There are no reviews yet.