Description
পশ্চিমবঙ্গের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলা বর্ধমান। দৈনন্দিন দিনযাপনের অভ্যস্ততা নিয়ে এগিয়ে চলে একটি ব্যস্ত জনবহুল ক্রমবর্ধমান অঞ্চলের জীবন। আপাতদৃষ্টিতে যে জীবন হয়তো-বা সহজসরল। কিন্তু আদপেই বোধ হয় তা নয়। সেখানে পড়াশোনা শেষে নিজেকে এবং পরিবারকে একটা সুনির্দিষ্ট উচ্চতায় উন্নীত করতে লড়াই করছে শিক্ষিত মুসলিম যুবক-যুবতী আরমান এবং জরীন। সেখানে অক্লান্ত মনোযোগে নিজের রাজ্যকে এবং দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এমনকী ব্যক্তিগত নৈকট্য, বিবাহিত জীবনের সুখ আনন্দ বিসর্জন দিতেও পিছপা হয় না ন্যাভাল অফিসার গৌতম বা ডিএম ইনচার্জ সাহানা। একইভাবে জীবনযুদ্ধে পরাজিত হতে হতেও খড়কুটো আঁকড়ে ধরার বাসনায় ক্রমাগত ছুটে চলা জিঞ্জার, নিম্মি বা হারুন হয়তো-বা এগিয়ে যেতে থাকে এমন এক সর্বনাশের পথে যা তাঁদের কাম্য ছিল না। শুধু বেঁচে থাকার তাড়নায় এই আত্মসমর্পণ। সব মিলিয়ে ভালো-মন্দ ন্যায় অন্যায় শুভ অশুভ সকল বোধের মর্মমূলে সহসা আঘাত করে শহরের প্রান্তে নতুনচক মাদ্রাসায় এক সকালের আকস্মিক বিস্ফোরণ। মুহূর্তে চলে যায় অসংখ্য প্রাণ। এই হত্যালীলা কখনো কাম্য ছিল না। কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মানতে পারবেন না এই রক্তক্ষরণ। কীভাবে কোন পথে এগোবে সাহানা, গৌতম, আরমান? এই উপন্যাস সেই গতিময়তারই স্বচ্ছন্দ বিচলন।
শিলিগুড়িতে জন্ম। তারপর পড়াশোনা শিলিগুড়ি, মালদা, বর্ধমান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গার স্কুল কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে। প্রথমে WBCS এক্সিকিউটিভ পরীক্ষা দিয়ে কো-অপারেটিভ ইনস্পেকটর পদে ছিলেন। তারপর WBCS জুডিশিয়াল পরীক্ষা দিয়ে বিচারবিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ। কর্মসূত্রে বহু রকম মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন, বাস করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে। তাঁর লেখায় তাই সমাজের নানাস্তরের মানুষের ভাবনাচিন্তা, জীবনবোধের ছবি ফুটে ওঠে অনায়াস তুলির আঁচরে।
রাজশ্রী বসু অধিকারীর রচনা সম্বন্ধে এককথায় এটুকু বলাই যায় যে তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলো কোনো আরোপিত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং নিজস্বতার এবং স্বাভাবিকতার আলো বা অন্ধকার নিয়েই হাজির থাকে গল্প উপন্যাসের পৃষ্ঠায়, যা পাঠকের একান্ত চাহিদা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, এই লেখিকার প্রতিটি রচনা শুধু গল্প বা উপন্যাসেই সীমাবদ্ধ নয়, প্রকৃত অর্থেই তা
হয়ে ওঠে বাস্তবের জীবনচর্চা।
Reviews
There are no reviews yet.