Description
রাত দ্বিপ্রহর।
সোনার খাটে ঘুমিয়ে আছে অপূর্ব সুন্দরী এক রাজকন্যা।
আশ্চর্য সুন্দর তার মুখশ্রী। দূর থেকে চাঁদের আলো ঘরের জানলা দিয়ে প্রবেশ করে সেই মুখে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। অন্ধকার ঘরের ভেতর তার রুপের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে চারদিক। সোনার
পালঙ্ক থেকে ঠিকরে পড়ছে আলোক আভা। সেখানে নানান পদের
চকচকে দামি পাথর। চিকচিক করছে। যেন দীঘল আকাশের বুকেকারুকার্যময় তারকারাশি।
ঘুমের মাঝে রাজকন্যা এপাশ থেকে ওপাশ ফিরল।
ঘুম খুবই হালকা তখনও। সবে মাত্র ঘুম এসেছে চোখের পাতায়।
এমন আধোঘুম জাগরণে রাজকন্যার মনে হল সামনে কেউ একজন শুয়ে
আছে। তার শরীরে হাত লেগেছে রাজকন্যার। তাতেই ঘুম ভেঙে গেল।
এ কী!
এ কে!
ঘরে তো কেউ ছিল না!
“চোর! চোর!”
ততক্ষণে যে যুবকের শরীরে হাত লেগেছিল রাজকন্যার সে জেগে উঠেছে।
রাজকন্যাকে নিজের শরীরের পাশে দেখেই একলাফে খাট থেকে নেমে গেল সে।
পরনে দীঘল সাদা আলখাল্লা। মুখে কালো কুচকুচে দাঁড়ি। ওতে যেন আলো খেলছে। চোখ দুটো সুরমা দিয়ে সাজানো। সফেদ শরীরের রঙ। হাতে তসবি!
চোর তো এমন হতে পারে না! এত সুন্দর হয় কেউ?
তারপর? বাকিটা জানতে হলে পড়তেই হবে রাজীব চৌধুরীর “বঙ্গদেশী মাইথোলজি”।
Reviews
There are no reviews yet.