ARYA DIGANTE SINDHU SOVYOTA

দানিকেন বলেছিলেন,দেবতারা নাকি গ্রহান্তরের মানুষ। আর বেদের সাক্ষ্য আমাদের জানাচ্ছে ইন্দ্রাদি সব দেবতাই আসলে মানুষ। ‘নর’ শব্দের যতরকম ব্যবহার আছে সব তুলনা করে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই প্রমাণ।
‘আর্য’ শব্দটির অর্থ যে নৃতাত্ত্বিক কোনো জাতি গোষ্ঠী নয় একথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। দুই বাংলার ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের একশ্রেণী আজ ভাষায় যখন আরবি ব্যবহার করছেন, তারা নৃতাত্ত্বিকভাবে আরবের মানুষ হয়ে যাচ্ছেন না। একইভাবে বাংলায় একসময় সংস্কৃতের প্রাধান্য এসেছিল । ভাষার ব্যবহার দিয়ে জাতিতত্ত্ব বিচার করা অনুচিত এ কারণেই। কিছু মানুষ পূর্ব ইউরোপ থেকে ভারতে আসতেই পারেন 1500 খৃষ্ট পূর্বের পরে, তবে তারা এসে ভারতীয় উপমহাদেশের সবকিছু বদলে দিয়েছিল তা মোটেই নয়। যজ্ঞবেদী, চাকার ব্যবহার এবং দেশীয় অশ্ব তার আগে থেকেই ছিল এখানে।
সিন্ধু সভ্যতা যে তার নানা বৈচিত্র্য নিয়ে মিশর বা মেসোপটেমিয়ার কয়েক গুণ বড় ভৌগলিক এলাকা নিয়ে বিস্তৃত হয়েছিল এবং প্রাক হরপ্পান যুগ থেকে হরপ্পার পতন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বছর ধরে টিকে ছিল, তার নানা বৈচিত্র্যের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল পরবর্তী যাজ্ঞিক আর্যদের সংস্কৃতি। এদের বিপরীতে ছিল অসুর সম্প্রদায়।
‘অসুর’ বলতে কাদের বোঝায় আর অসুরেরা যে আজও ভারতের বুকে রয়ে গিয়েছেন সে কথাও অনেকটা আজকাল জেনে ফেলেছি আমরা।
দেরতা, অসুর, মানব সব মিলিয়ে এক জমজমাট বিন্যাস ছিল সেদিনের ভারতীয় উপমহাদেশে।