Description
বড় সড়ক ধরে চাষের জমির পাশ দিয়ে পালকি চলছে । পিছনে দুলকি চালে জ্যোতিপ্রকাশ । তার হটাৎ খেয়াল হলো দূরে দুটি ছেলে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে আসছে । পালকি থামে । সামনের ছেলেটি অচেনা পিছনে কুমুদ। কুমুদ দুহাতে বড়সড় কিছু ধরে দৌড়াচ্ছে । স্তম্ভিত জ্যোতিপ্রকাশকে আরো অবাক করে দিয়ে কুমুদ দৌড়ে এসে সোজা পালকির পর্দা তুলে মানদা দিদির হাতে ধরিয়ে দেয় একটা পাকা বাতাবী । বলে ―“আবার এসো মানদাদিদি । খুব তাড়াতাড়ি ।” বড়বড় অবাক দুটো চোখ তুলে তাকিয়ে থাকা ঘোমটা ছাড়া মেয়েটিকে বলে ―“ আর কখনো পেত্নী বলবো না ।”
সবাইকে বিস্ময়ে অভিভূত করে দিয়ে হাতজোড় করে বড় সম্বন্ধীকে দূর থেকে প্রণাম জানিয়ে আবার উল্টো দিকে দৌড়ায় কুমুদ । মানদাদিদি চোখ কপালে তুলে বলে
―“ আজকালকার ছেলেদের কোনো লজ্জাশরম কিছু নেই গা !”
নিশীথের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় কুমুদ । পিছনে তাকিয়ে দেখে পালকির পর্দা সরিয়ে বিম্ববতী ওকে দেখছে । মুখে হিসাব না মেলা একটা দুরূহ অঙ্কের ছবি । কুমুদের বুকে তার নিজের অজান্তে আঁকা হতে থাকে সেই কচি মুখের ছবি ।
জ্যোতিপ্রকাশ একবার মুচকি হেসে তক্ষুনি গম্ভীর হয়ে যাত্রা শুরু করে । মানদাদিদি বিম্ববতীকে কাছে টেনে নিয়ে পর্দা টেনে দেন ভালো করে । এসব অনাচার তার অবিবাহিত অতৃপ্ত চোখে সহ্য হয়না ।
কুমুদ আর নিশীথ বিশ্ব জয়ের আনন্দে বাড়ির রাস্তা ধরে।
Reviews
There are no reviews yet.