Description
অঘোরী মা ষোড়শী নাথ খণ্ড ২
তারাপীঠ পৌছে মায়ের আঁচলের গন্ধে যেন মন ভরিয়ে দিয়ে ছিল। এই অনুভূতি যারা মায়ের কাছে সমর্পন করেছে তারাই খালি পায়। সব দুঃখ কষ্ট একদিকে মা একদিকে। তখন মনে হয়, কি যায় আসে কে কি ভাবছে। আমার কাছে যে আছে তাকে পাওয়ার জন্য রাশিরাশি লোকেরা লাইন দেয়। অদ্ভুত এক অনুভূতি, তার চেয়েও বেশি প্রাপ্তি। অটোতে উঠে পশুপতি গুরুজীর আশ্রম এর দিকে রওনা হয়েছিলাম। মোড়ের মাথায় নামতেই, মায়ের মন্দিরের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, “চারটে দিন হয়েছে সবে, কিন্তু মনে মনে লাগছিল এক যুগ।
কি করে পারবো আমি তোকে ছেড়ে থাকতে?”
এক গুরু ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেছিল।
– দিদি? কি ব্যাপার, সব ঠিক তো?
– হ্যাঁ, সব ঠিক, মায়ের জন্য মন কেমন করছিল তাই চলে এসেছি।
– চলো আশ্রমে, গুরুজীর শরীর একদম ভালো নেই।
আশ্রমে পৌছে দেখেছিলাম গুরুজীর ঘরের সামনে অনেক ভিড়, সবাই দেখা করতে এসেছিল। ঘরের দালানে উঠতেই শুনেছিলাম ওনার গলা, “ষোড়শী মা এসেছিস? আয় মা তোকে ছাড়া ভালো লাগে না।”
ঘরে ঢুকে ওনাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে বলেছিলাম, “আমারও একদম ভালো লাগে না, শুধু এইখানের জন্য মন টানে।”
ঘরে দৌড়ে যে ঢুকেছিল তার চোখে অনেক প্রশ্ন ছিল। শিবানন্দের চেহারা খুব খারাপ লেগেছিল দেখে। ওর ফিরে গিয়ে ভালো চিকিত্সা করা উচিত।
গুরুজী টাকা বার করে গুরুভাই কে বলেছিলেন মাংস নিয়ে আসতে আমি এসেছিলাম বলে। আমার ঘরের চাবি নিয়ে তারানাথ এসে বলেছিল, “দিদি, চলো ঘরে একটু বিশ্রাম করে নেবে। বিশ্বনাথ দা সিঙাড়া আর চা আনতে গেছে।”
গুরুজীর আদেশ নিয়ে নিজের ফেলে যাওয়া ঘরে গেছিলাম। কেউ যে ব্যবহার করেনি বুঝতে পেরেছিলাম। এখনো যেন টাটকা আমার গন্ধ চারিদিকে। দরজায় টোকা পড়তে বুঝেছিলাম কে হতে পারে। দরজা খুলে শিবানন্দ আর বিশ্বনাথ দাঁড়িয়ে ছিল দেখেছিলাম।
– নাও দিদি, গরম গরম খেয়ে নাও অতোটা পথ এসেছো।
– কেমন আছিস তুই?
– ঠিকই আছি, তবে একটা ব্যাপার একজন খবর দিয়েছে ওইখানে একবার দেখতে যেতে হবে।
– কি খবর রে?
– আরে লুটমারি চলছে কলকাতায় ভগবানের ভরের নামে। তাঁরা, কালী, মনসা, শীতলা, শিব কেউ বাদ নেই। সব দেব দেবীরা কলকাতাতেই আসছে।
– হাহাহা, তার মানে তোরা ওইখানে মজা দেখাতে যাবি!!
– আমরা কেন? তুমিও যাবে। চলো না ঘন্টার পর ঘন্টা সাধনা করে আমাদের তো কোনোদিন ভর করলো না। সেই ভাগ্যবতীদের দেখে জীবন সার্থক করবো।
তারানাথও ঘরে এসে উপস্থিত। ও শুনে বলেছিল এইরকম সার্কাস দেখা ছাড়া যায় না। শিবানন্দ বলেছিল, “আমি গেলে ডলার চাইতে পারে তাঁরা মা!!!”
হাহাহা, মন খুলে যেন এদের সাথে হাসা যেতো। ঠিক হয়েছিল আশীর্বাদের জন্য যখন কলকাতা ফিরবো ওরাও যাবে এবং তার পরদিন সেই ভরের স্থানে যাওয়া হবে।
তারানাথ আর বিশ্বনাথ ঘরে চলে গেলেও শিবানন্দ অপেক্ষা করছিল আরো কিছু জানার জন্য। আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসেছিল সে।
– ষোড়শী তুমি এখন এখানে কেন? আমার থেকে লুকাতে পারবেনা; নিশ্চয়ই কোন ঝামেলা আছে।
– ঝামেলা তো আছেই শিবানন্দ কিন্তু তোমাকে এই ঝামেলার মধ্যে আমি ফেলতে চাইনা।
– প্রেম নাইবা হলো তাই বলে বন্ধুত্বটাও মিটিয়ে দেবে?
– এরকম ভাবে বোলো না, আমি বন্ধু মনে করি বলেই তোমাকে ঝামেলায় জড়াতে চাইছি না।
শিবানন্দের পিড়াপিড়িতে আমাকে ওকে পুরো ঘটনাটাই বলতে হয়েছিল। তার সাথে আদেশে পাওয়া সাধনাও। এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা না করে ও বলেছিল সঙ্গ দেবে আমাকে এই বিপদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। যাই হোক বন্ধু ভাগ্যটা খুব ভালো পেয়েছি আমি জীবনে। রাতে শ্মশানে সাধনায় বসা হবে ঠিক হয়েছিল। তার আগে গুরুজীর কাছ থেকে কিছু জিনিস শিখতে হবে।
সন্ধ্যাবেলা গুরুজীর ঘরে গিয়ে তার সাথে বসে জপ করেছিলাম। বহুদিন পর এই সুযোগ পেয়েছিলাম। সময় বুঝে ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম রক্ত পিশাচের নিবারণ কিভাবে করা যেতে পারে। উনি অনেকক্ষণ ভেবে বলেছিলেন মাতৃকাদেবীর সাধনা করে। ওনার মুখ থেকে এই কথাটা শুনে সত্যি বিস্ময়ে মনটা ভরে গেছিল। কত ক্ষমতা থাকে সাধনায়।
– ষোড়শী মা তুই বিপদে আছিস। আমার চণ্ডাল কে আজ সঙ্গে নিয়ে যাবি, ওর ওপর সবরকম সাধনার প্রয়োগ আমার করা আছে।
– শিবানন্দ আমার সাথে যেতে চায়, ওকে বিপদে ফেলতে চাই না।যদি কিছু হয়ে যায় ……
– হাহাহা চিন্তা করিস না মা, ও কাপালিক, সব শয়তান শক্তি দমনের কাজ ওরা জানে।
– গুরুজী রক্ত পিশাচ কে দমন করার মন্ত্র আমাকে দীক্ষা দেবেন?
উনি কানে কানে বরাহী মায়ের একটি অতি শক্তিশালী মন্ত্র বলেছিলেন। ওনাকে প্রনাম করে নিজের ঘরে এসে দেবপর্ণ কে ফোন করেছিলাম। অনেকবার বেজে কেটে গেছিল। মনটা আরো আনচান করে উঠেছিল চিন্তায়।
ঘরের বাইরে একটা বালিকা আমাকে ডাকছিল, আমি জিজ্ঞেস করতে বলেছিল, “দিদি, আমার মা তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছে। মা খুব অসুস্থ তাই আসতে পারেনি।”
– কোথায় থাকো?
– ওইতো মাঠের ওপারে।
আমি ব্যাগ নিয়ে ওর পেছন পেছন যাচ্ছিলাম। কে জানে ভূতে ধরেছিল কিনা।
সন্ধে হয়ে গেছিল; চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোকা ঘিরে ধরেছিল। মেয়েটা খুব তাড়াতাড়ি হাঁটছিল, খানিকটা অন্ধকারে মিশে যাওয়ার মতনই এগিয়ে চলেছিল। এইবার দেখেছিলাম একটি ছোট্ট কুটীর। একটি টিমটিমে আলো জ্বলছিল ভেতরে। মেয়েটি দৌড়ে ভেতরে ঢুকে গেছিল। আমি তার পেছন পেছন ঢুকে দেখেছিলাম ফাঁকা ঘর; এক কোণে এক মহিলা নববধূর মতন লাল শাড়ি পরে মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসেছিল। তার সামনে একটা পেতলের রেকাবিতে কিছু ফল ও বাতাসা রাখা ছিলো। পুজোর কিছু সামগ্রীও চোখে পড়েছিল, যেমন ধূপকাঠি, প্রদীপ, শঙ্খ, ইত্যাদি। ছোট মেয়েটি বলেছিল, “মা, দিদিকে নিয়ে এসেছি। এইবার তুমি খুশি তো?”
সেই মহিলা একটা প্রায় এক ফুট বড়ো গজাল পেরেকের মতন দেখতে কোনো লোহার অস্ত্র আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম আমি তার হাত দেখে, তাতে ভরাট সোনার গয়না পরানো ছিল। যে মানুষটি এরকম দুঃস্থ পরিবেশে থাকে, সে এত মূল্যবান গয়না পরে কী করে?
বাচ্চা মেয়েটি আমার হাত ঝাঁকাতে আমি সম্বিত ফিরে পাই। “ও দিদি, মা তোমাকে ওইটা নিয়ে যেতে বলছে”।
আমি সেই লোহার অস্ত্রটি হাতে নিয়ে সামনে বসে থাকা বউ মানুষটিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “আপনি কে? এই জিনিসটা নিয়ে গিয়ে আমি কী করবো?”
আবার সেই বাচ্চা মেয়েটি বলে উঠেছিল, “ওইটা তোমার লাগবে বিপদের নাশ করতে; তাই জন্যেই ওটা দিয়ছে”।
“আমি আপনার মুখ দেখতে চাই”। বাচ্চাটা বলেছিল, “সামনে রাখা ঘটির জলের দিকে তাকাও, তুমি আমার মাকে দেখতে পাবে”।
সেই জলের দিকে তাকাতেই আঁতকে উঠেছিলাম। একজন বরাহমুখী মহিলা অনেক গয়নাতে সুসজ্জিতা আমার দিকে নিষ্পলকে তাকিয়ে ছিলেন।
জ্ঞান ফিরেছিল যখন আমি সেই মাঠের মাঝখানে শুয়েছিলাম। আমার চারিধারে গুরুভাইরা, বিশ্বনাথ, তারানাথ ও শিবানন্দ কিছু গ্রামবাসীর সাথে ব্যস্ত হয়ে আমার মুখে চোখে জল ছেটাচ্ছিল। আমি কি তাহলে স্বপ্ন দেখেছিলাম জ্ঞান হারানোর আগে?
সেটা যে স্বপ্ন ছিল না, তার প্রমাণ ছিল আমার মুঠিবদ্ধ সেই লোহার অস্ত্র।
আশ্রমে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে স্নান করে মহাশ্মশানে গেছিলাম। শিবানন্দ সমস্ত জোগাড় করে ওইখানে অপেক্ষা করেছিল। আমাকে দেখে বলেছিল, “চলো আগে বামদেবের পঞ্চমুণ্ডী আসনে জপ করে আসি। যাদের জানা নেই বলি, বামদেব বাবার সমাধির কাছেই ওই শক্তিশালী আসন। এমনি মানুষের তার কাছাকাছি না যাওয়াই ভালো। পঞ্চমুণ্ডী সাধনা তন্ত্রের খুব কঠিন সাধনা। স্থানীয় কথায় শিবা ভগ তলায় বা মহাশশ্মানের শ্বেত শিমুল গাছ তলায় এক এবং অদ্বিতীয় পঞ্চমুন্ডির আসন অবস্থিত । এই আসনে বসেই সাধনা করে বশিষ্ট মুনি ও গুরু বামদেব সিদ্ধিলাভ করেছেন। কথিত আছে যে মা তারার শিলামূর্তিটি এই শ্বেত শিমুল গাছের নিচেই পাওয়া যায়।
মহাশশ্মানের মধ্যে মায়ের যে পদপদ্ম আছে সেটি ক্ষয়ে যাবার জন্য বর্তমানে একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটি হচ্ছে এই পদচিহ্নটি একটি আস্তরন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। পঞ্চমুণ্ডীর কথা অনেক তন্ত্রের গল্পে শোনা হলেও তার আসল ক্রিয়া সঠিক ভাবে জনগণের জানা নেই। এই আসন বানাতে পাঁচটা খর্পর লাগে। তবে সব কটা নরমুণ্ড নয়। একটা নরমুণ্ড, চণ্ডাল শ্রেনীর হলে সব থেকে ভালো, একটা শেয়ালের মুণ্ডু, হনুমানের, বেড়ালের ও একটি সাপের মুণ্ডু। এই হচ্ছে আদি পঞ্চমুণ্ডী আসন সৃষ্টির করার সামগ্রী। এইবার এতে তান্ত্রিক মতে পুজো করে, সেই মুণ্ডু গুলোর প্রেত জাগিয়ে তাদের রক্ত মাংসের ভোগ চড়ানো হয়। ছাগ বলিদান ও দেওয়া হয়। এই আসন কোনো বসতির কাছাকাছি করা যায় না, কথায় আছে একটিমাত্র পঞ্চমুণ্ডী আসন একটা গ্রাম শেষ করে দিতে পারে। মানুষের প্রানের হানি হয়ে থাকে এর উর্জা থেকে। তার কারণ হলো অতোটা জাগ্রত প্রেত শক্তি মানুষের সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত। এই আসন রক্ত প্রিয়, এরা বলি চায়। তাই এই আসনে সাধনাও যে কোনো সাধক করতে পারে না।
একটা নিজে চোখে দেখা সত্যি ঘটনা এই আসন ঘিরে বলছি, একজন মিস্ত্রি সিমেন্ট ঢালাইয়ের কাজ করছিল এক আশ্রমে। ওই আশ্রমে খুব জাগ্রত পঞ্চমুণ্ডীর আসন ছিল।
এরা শিক্ষিত না আর এই বিষয়ে অতো জ্ঞান ও রাখে না। লোকটি আসনে পা দিয়ে উঠে দেওয়ালে সিমেন্টের কাজ করেছিল। সন্ধ্যাবেলা সাইকেলে বাড়িতে ফিরছিল যখন রাস্তায় একটা কালো বেড়াল হঠাত্ করে এসেছিল, লোকটা সামলাতে না পেরে পাশের খালে সাইকেল নিয়ে পড়ে গেছিল। কিছুরকমে উঠে বাড়িতে গিয়ে ভাত খেয়ে শুয়ে পরেছিল। রাতে এসেছিল ভয়ঙ্কর জ্বর। তার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল বিভিন্ন বিভৎস মুখ, সাথে সাথে শরীরের উত্তাপও। পরের দিন কাজে যেতে পারেনি। তিনদিন পর ওই আশ্রমের প্রধান মহারাজ খোঁজ লাগাতে জানতে পারে সব কথা। তিনজন সাধক নিয়ে ওনারা মিস্ত্রির বাড়িতে গেছিল। মিস্ত্রি কে দেখেই মহারাজ জিজ্ঞেস করেছিলেন পঞ্চমুণ্ডীর ওইখানে ও কাজ করতে গিয়ে কিছু হয়েছিল কিনা। মিস্ত্রি সব বলতে মহারাজ ও তিন সাধক মিলে মন্ত্র পাঠ করে ওকে বাঁচিয়ে ছিল।
এতো খতরনাক এই আসন। আমরা দুজনে বসে জপ শুরু করেছিলাম। আশেপাশে বিকট শব্দ হচ্ছিল, কাজল অন্ধকারে রাতের পাখির ডাক, দূরে শেয়ালের ধ্বনি আর মিটমিটে আলো জোনাকি পোকার। এই পরিবেশে এমনিতেই শিহরণ জাগিয়ে তোলে। শিবানন্দ হঠাত্ আমার হাত চেপে ধরেছিল, চোখ খোলার আদেশ নেই সাধনায়, তাই কোনো বিপদের আগমনী বুঝেও চোখ খুলিনি। মহাকালের স্মরণ করেছিলাম এক মনে। পায়ের ওপর কিছু শীতল জিনিস অনুভব করেছিলাম। এইবার সাধনার ঘোরেই বুঝেছিলাম কোনো সর্পের ছোঁয়া। এইসব ভয় দেখানো সাধনার খেলা, কখনো বা ভূত প্রেতের আওয়াজ কখনো জন্তু। তবে সর্পটি যেন আমাকে জড়িয়ে ছিল। শিবানন্দের আওয়াজ শুনেছিলাম একদম নড়তে না করেছিল। আমি মহাকালের রক্ষা মন্ত্র মনে মনে পাঠ করতে শুরু করেছিলাম। এইরকম অভিজ্ঞতা প্রথমবার, ভূত পিশাচে আগেও অনেকবার সাধনার সময় বিরক্ত করেছিল।
সেই একই ভাবে বসেছিলাম ঘন্টা খানেক, তারপর শিবানন্দের গলায় মন্ত্র পাঠ শুনেছিলাম:-
দেবীমম্বামহীনাংশশধরবদনাংচারুকান্তিংবদন্যাম্ । হংসারূঢ়মুদারামসুললিতবসনাংসর্বদাংসর্বদৈব ।। স্মেরাস্যাংমণ্ডিতাঙ্গীংকনকমণিগণৈর্মুক্তয়া চ । প্রবালৈর্বন্দেহহংসাষ্টনাগামুরুকুচগলাংভোগিনীংকামরূপাম্ ।।
হাত জোড় করে দুজনে এক সাথে মনসা দেবীর প্রনাম মন্ত্র বলেছিলাম:-
আস্তিকস্যমুনের্মাতা ভগিনী বাসুকেস্তথা
জহৎ কারুমুনেঃ পত্নী মনসাদেবীনমোহস্তুতে।।
মন্ত্র শেষ হতেই সেই সর্পিল জিনিস গায়ের থেকে নেমে গেছিল। চোখ খুলে যা দেখেছিলাম তাতে হৃদের স্পন্দন ঢাকের মতো শোনাচ্ছিল। একটা কালো শঙ্খচূড় ঢালু পথে নেমে ঝোপের দিকে অগ্রসর করছিল।
Reviews
There are no reviews yet.