Description
Aatanker Dui-Kingbadanti
01. ঝুমনি: -” খবরদার নতুন বউ, যাই হয়ে যাক না কেন ঝড় উঠলে ভুলেও খাটের তলায় তাকাবি নে! বুঝেছিস?” -” ক…ক…কেন কী থাকে খাটের তলায়?” এই প্রশ্নে বৃদ্ধার মুখ মুহূর্তেই ফ্যাকাসে হয়ে যায়। কপালে জমে ওঠে বিন্দু বিন্দু ঘাম। প্রচন্ড আতঙ্কে কোনোমতে একটা ঢোক গিলে তিনি কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ওঠেন শুধু একটাই শব্দ- ” ঝুমনি!” ঝুমনি আসলে কী? কেন একটা গোটা শহরের মানুষ এই একটা নাম শুনলেই আতঙ্কে কেঁপে ওঠে? কেন ঝড়ের সময় শহরের প্রতিটা বাড়ির থেকে ভেসে আসে মেয়ে বউদের একই সুরে ছড়া কাটার শব্দ? কেনই বা ধুলোচড়ার মানুষ ঝড়ের সময় খাটের থেকে মাটিতে পা ফেলতে পর্যন্ত আতঙ্কে শিউরে ওঠে? সাতাত্তর বছর পর আবারও জেগে উঠছে ক্ষণদেবীর মন্দির। কিন্তু কেন? কেনই বা শহরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বিশালকায় একটি সাদা সাপকে? প্রতিরাতে কী বলতে আসে সে একটি বাচ্চা মেয়েকে? এক উদ্ভ্রান্ত মানুষ পাগলের মত খুঁজেই চলেছে একটা রাস্তা। কোথায় যাওয়ার রাস্তা খুঁজছে সে? গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতর এক পরিত্যক্ত কুয়োর চারপাশে কাদের যেন উন্মাদের মত নাচতে দেখা যায়। ঠিক কী চায় তারা? কয়েকশো বছর অপেক্ষার পর এইবার তার হাতে এসেছে সেই ভয়ঙ্কর সুযোগ। সত্যি সত্যিই কি এবার সফল হবে সে? পৃথিবীর বুকে সত্যিই কি তাহলে নেমে আসতে চলেছে ভয়াবহ কালতমসা! তাকে আটকানোর কি কোনই উপায় নেই! কিছু উদ্ভ্রান্ত মানুষ বদ্ধপরিকর এর শেষ দেখতে। যদিও তাদের হাতে তাকে আটকানোর কোনোই উপায় নেই। কী হবে তাদের পরিণতি যখন শুরু হবে ঝুমনির ভয়ঙ্কর খেলা? যে খেলার একটাই মাত্র নিয়ম… একবার ঝড় উঠলে যাই হয়ে যাক না কেন ভুল করেও খাটের তলায় তাকানো যাবে না! কারণ খাটের তলায় তাকালেই… 02.রঙ্কিণী: ধলভূমগড় রাজ্যের রাজগুরু মহর্ষি শম্ভুপাদ প্রতিরাত্রে একটাই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখেন। পাহাড়ের কোলে জেগে থাকা রঙ্কিণী দেবী এই স্বপ্ন দেখিয়ে তাঁকে কোনো ভয়ঙ্কর সর্বনাশের ইঙ্গিত দিচ্ছেন? মহারাণী কঙ্কাবতীই বা আজকাল রাজামশাইয়ের আশেপাশে যেতে ভয় পান কেন? কী সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা যার পরে রাজামশাই আমূল যেন বদলে গিয়েছেন? প্রেতপর্বতের প্রেতসাধক গুনীণদের বচন কী সত্যি প্রমাণিত হবে? মহর্ষি কী পারবেন দেবী রঙ্কিণীর শক্তিঅঙ্গকে গর্ভপ্রাচীর দিয়ে রক্ষা করতে? নাকি শয়তানের অনুচরেরা জাগিয়ে তুলবে সেই ভয়ঙ্কর অপদেবতাকে যে আজও ঘুমিয়ে রয়েছে কালের গহ্বরে? মর্ত্যগন্ধর্বেরা কেন বললেন দেবী রঙ্কিণীর নিয়তিতে রয়েছে রক্তখাকি হওয়া? কেন আচমকাই লোকজন নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে এক একটা গ্রাম থেকে? কী হবে সেদিন যেদিন সুবর্ণরেখার জল বদলে যাবে রক্তে, পাহাড়ের পাথরেরা প্রাণ পেয়ে চলাচল করবে আর রাতের অন্ধকার বদলে যাবে দিনে? সাগর আর বিষাণ, দুজনেই খবর পায় ঝাড়খণ্ডের জাদুগোড়ার কাছাকাছি কোনো পাহাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে দীর্ঘজীবী মানুষেরা। লোকে বলে তারা নাকি অমর। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে ওরা জানতে পারে, সেই গ্রাম নাকি অভিশপ্ত। কীসের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে রয়েছে গ্রামটি? কেনই বা লোকে ভয় পায় গ্রামটি সম্পর্কে আলোচনা করতে? ঝাড়খণ্ডে বেরোনোর আগে প্রতিনয়ত সাগর পেতে থাকে নানান ধরনের হুমকি। কেউ চায় না সাগর ঝাড়খণ্ডে যাক? কিন্তু কেন? সাগরের অতীতের কোন শতাব্দী প্রাচীন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ডে? সে কী পারবে সেই রহস্য ভেদ করতে? কে প্রতি অমাবস্যার গভীর রাতে রঙ্কিণীর দরজায় নিজেকে চাবুকাঘাত করে চিৎকার করে ওঠে” মা আমায় ক্ষমা কর!” বলে? সাগর বুকের ঠিক মাঝখানে একটা ক্ষতচিহ্ন নিয়ে জন্মেছে? এ কী সাধারণ কোনো জন্মদাগ? নাকি এই চিহ্নের ভেতরে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে যা জাগিয়ে তুলবে এক অতীতের এক অভিশপ্ত দেবতাকে? আর বদলে দেবে সৃষ্টির ভবিষ্যৎ?
Reviews
There are no reviews yet.