Description
তন্ত্রের প্রতি সাধারণ জনমানসে এক ভয়মিশ্রিত কৌতূহল আছে। মদ, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা ও মৈথুন — এই পঞ্চ তন্ত্রসাধনায় অপরিহার্য। লেখক স্বয়ং একজন তন্ত্রাচারি। তন্ত্র এমনই এক শাস্ত্রীয় আচার যা আত্ম অনুসন্ধান শেখায়। আলোচ্য গ্রন্থটির লেখকের এই আত্মানুসন্ধানের ফসল। এ গ্রন্থ কোনো তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, সহজ সরল ভাষায় লেখক বিবৃত করেছেন তন্ত্রের নানা অনুষঙ্গ।
তন্ত্র এক সাধন পদ্ধতি, কোনো ধর্মীয় মতবাদ নয়। বৌদ্ধ তন্ত্র মূলত হিন্দু তন্ত্রাচারেরই এক ভিন্ন রূপ। শুধু কাঠামো পৃথক।
শিবের ডমরু থেকেই নাকি তন্ত্রের উৎপত্তি। দেবী দুর্গার দশ হাত ধারণ করে আছে দশ মহাবিদ্যাকে। দশমহাবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে হিন্দু তন্ত্রাচার।
সহজ-সরল ভাষায় লেখক এ-গ্রন্থে বিবৃত করেছেন পঞ্চ ম-এর নানাদিক, অঘোরী ও প্রেততত্ত্ব। ছোটো ছোটো গদ্যের মধ্য দিয়ে গল্পের মতো করে অনায়াসে গমন করেছেন সাধনতন্ত্রের বিভিন্ন দিকে। এ-সবই লেখকের ব্যক্তি অভিজ্ঞতা ও আত্ম অবলোকন।
Reviews
There are no reviews yet.